খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় আসামি করা হয়েছে ৪০০/৫০০ জনকে।
মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা পরিদর্শক মোঃ মনিরুজ্জামান লিটন। মামলা নং ১৭ তাং ১৯/২/২০২৪। ধারা ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২/৫/৩২৬/৪২৭/৩৪ পেনাল কোড। তবে মামলার এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। আসামিরা সবাই অজ্ঞাত।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংঘর্ষের ঘটনায় রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো তাদের ৫ দফা দাবির মধ্যে ২নং দাবি ছিল কুয়েট শিক্ষার্থীদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থী এবং এদের প্রশ্রয়দাতা শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন হতে হত্যার চেষ্টা ও নাশকতার মামলা করতে হবে এবং এর সঙ্গে জড়িত সকলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। জড়িতদের তালিকা শিক্ষার্থীরা প্রদান করবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরী সিন্ডিকেট সভা আহবান করে। বেলা সাড়ে ১১ টায় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং একইসঙ্গে সরাসরি জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সাথে প্রকৃত দোষী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করাসহ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত তদন্ত কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাসে এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের ৫ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করে। আজ বেলা ১১ টায় তারা বিশ্ববিদ্যালয় দুর্বার বাংলা পাদদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সন্ত্রাসীদের লাল কার্ড প্রদর্শন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
খুলনা গেজেট/টিএ/এনএম